ভবিষ্যৎ বিদ্যালয়ের চিন্তাধারা
ভবিষ্যৎ কার্যসূচীকেই সংক্ষেপে পরিকল্পনা বলে। আর তাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একটি বিদ্যালয়ের জন্য খুবই জরুরী। অত্র বিদ্যালয়ে সাধারণত পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা নেয়া হয়। শিক্ষক/শিক্ষিকা ম-লীর সঠিক সহযোগিতা নিয়ে ভবিষ্যৎ অত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির আরও উন্নতি করব। বিশেষ করে ছাত্রীদেরকে তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করব। অত্র বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের সংকট নিরসন হলে প্রতিটি শ্রেণি কক্ষ ডিজিটাল ভাবে সাজানো হবে, যাতে সহজেই মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রতিটি ক্লাস নেয়া যায়। আমি চাই, এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রী প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বায়নের যুগে নিজেকে সুদৃঢ় ভাবে দাঁড় করাতে পারুক। আর এর বহিঃ প্রকাশ হবে ইনশা্ আল্লাহ। আগামী সালের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে। আল্লাহ্ যেন আমাদের আশা পূরণ করেন।
ঐতিহ্যবাহী পালসা উচ্চ বিদ্যালয়টি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদান রাখলেও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ব্যাপক সমস্যা রয়েছে। যা শিক্ষা কার্যক্রমকে অনেকাংশে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ পূর্বক সমাধানে প্রচেষ্ঠা চলছে। এছাড়া স্থানীয় ভাবে সমস্যাটি সমাধানের জন্য উচ্চবিত্ত শ্রেনীর লোকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের মাধ্যমে কিছুটা সুরাহার প্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। এস.এস.সি. ও জে.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। প্রতি বছর ১০০% পাশের জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রতি ছয়মাস পর পর মতবিনিময় সভার ব্যবস্থা করা হয়েছে যা ভবিষ্যতে অব্যহত থাকবে। পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ ও জুনিয়র পরীক্ষার বৃত্তির পরিসীমার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ক্লাস সহ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগ চালু আছে। পরবর্তীতে বাণিজ্য বিভাগ চালু করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ঐছাড়া সুযোগ সাপেক্ষে ভবিষ্যতে কারিগরি শাখা খোলার মাধ্যমে বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত করা পরিকল্পনাও রয়েছে। কোন শ্রেণীতে বর্তামানে অনুমোদিত কো ন শাখা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রচুর। অতিসত্ত্বর শ্রেণী কক্ষের সমাধান করার পর শাখা খোলার পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। শিক্ষায় গুণগত মান উন্নয়ন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাস গ্রহন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিদ্যালয়ের সুন্দর সুস্থ পরিবেশে বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সদা সর্বদা প্রস্তুত। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরো ব্যাপক কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানসিক উৎকর্ষতার জন্য লিখাপড়ার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম যেমন খেলাধুলা বিতর্ক , গান বাজনা রচনা প্রতিযোগিতা স্কাউটিং ইত্যাদির বিষয়ে নিয়মিতভাবে অনুশীলনের ব্যবস্থা করার হচ্ছে। এককথায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা রয়োছে। যাতে করে বিদ্যালয়াটিকে উপজেলার মধ্যে একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিণত করা যায়।